জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন অথবা এর আগে যে কোনো একদিন গণভোটের আয়োজন করার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
তিনি জানান, আজকেই সব রাজনৈতিক দলগুলোকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা পৌঁছে দেওয়া হবে। যে সব বিষয় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, সেগুলো সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, সাংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের জন্য ৪৮টি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখানে এক সঙ্গে ৪৮টি বিষয় বাস্তবায়নে জনগণের ওপর গণভোট হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্কার না আনলে গণভোট বিলের আওতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। আর আদেশ জারির পর থেকে সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত থাকছে গণভোটের সুযোগ। তবে গণভোটে সনদ পাশ না হলে প্রত্যাখ্যান হওয়ার শঙ্কাও থাকছে পুরো সনদের।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে রয়েছে একটি আদেশ জারির কথা। সেখানে সংবিধান সংশ্লিষ্ট ৪৮ টি বিষয়কে একটি প্রশ্নে প্রস্তুত করা হবে একটি বিল আকারে। পরবর্তীতে তা নিয়ে হবে গণভোট। পরিষদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে গণভোটে পাশ হওয়া বিলের সবগুলো বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাশ হয়ে যাবে।
তবে আগে গণভোট হলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে কিনা, এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের বলে মত তার। গণভোটে সনদ পাশ না হলে তা জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যানেরও শঙ্কা দেখছেন আলী রীয়াজ।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে তিনি বলেন, যারা স্বাক্ষর করেনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে, এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে, হচ্ছে। আশা করি এনসিপি স্বাক্ষর করবে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।


















