রবিবার , ২৪ আগস্ট ২০২৫ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

নতুন চাপে নির্বাচন কমিশন

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২৪, ২০২৫ ৩:৩২ অপরাহ্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হয়, এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) চায় বিতর্কমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন উপহার দিতে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। এ জন্য তারা সব ধরনের সহযোগিতাও করতে ইচ্ছুক। বিশে^র বিভিন্ন দেশ জানিয়েছে, তারাও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ। উপরন্তু, গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো, বিশেষ করে যেসব দল আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত, সেসব দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না- এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এখনও সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। তাই নিবন্ধিত সবগুলো দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি না- এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

এ ছাড়া আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ, পিআর পদ্ধতি, প্রতীক নির্ধারণ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ইস্যুসহ নানাবিধ চাপে আছে ইসি। এর মধ্যেই আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির।

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করবে ইসি। যদিও গত সপ্তাহেই ঘোষণার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘোষণা আসেনি। নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আজ রবিবার থেকে দাবি-আপত্তির ওপর আলোচনা শুরু হবে। এরই মধ্যে দুটি সংসদীয় আসন কাটছাঁট করে সংসদীয় আসনের খসড়া প্রকাশ করেছে ইসি। সেই খসড়ায় বিএনপিসহ অন্যান্য দলের আপত্তি রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে চিঠি দেওয়ার পর ইসির ভোট-প্রস্তুতির কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে। তবে কিছু বিষয় নিয়ে এখনও এক ধরনের অস্পষ্টতায় রয়েছে ইসি। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং ইসলামী দলগুলো পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইছে। কিন্তু বিধানটি সংবিধানে না থাকায় এ পদ্ধতি প্রয়োগের সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিইসি।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত জাতীয় পার্টিকে যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয়, এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদসহ একাধিক দল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে যেসব দল বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা রয়েছে কি না- তা বোঝার চেষ্টা করছে ইসি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী অবশ্য গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জাতীয় পার্টি ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক সংস্কারও হবে না।

গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা দলগুলোকে ঐকমত্য কমিশন বা নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষ থেকেই কোনো সংলাপে বা বৈঠকে ডাকা হয়নি। তাই নির্বাচনে এসব দলের অবস্থান কী হবে; তাদের বাদ দিয়ে ভোটানুষ্ঠান করা হলে সেই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে কি না- এ নিয়েও নানা মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

ইসির ওপর আরও একটি চাপ রয়েছে। বিগত নির্বাচনে যেসব কর্মকর্তা ভোট আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন আগামী নির্বাচনে তাদের দায়িত্বে রাখা না-রাখা নিয়ে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে তাদের বাদ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিষয়ে সিইসি এ, এম, এম, নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের কোথায় পাঠাব? তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিগত নির্বাচনে অনিয়ম করেছিলেন, সেই সব কর্মকর্তাকে রাখা হবে না। তাই স্বপ্রণোদিত অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বাছতে গিয়ে ভোট কর্মকর্তার সংকট সৃষ্টি হবে কি না- এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত