শনিবার , ২৪ মে ২০২৫ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা: সবার দৃষ্টি এখন যমুনার দিকে

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ২৪, ২০২৫ ৬:০৭ অপরাহ্ণ

গেলো কয়েকদিন ধরেই ‘টক অব টাউন’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন। একটা পর্যায়ে জানা যায়, ক্ষোভ ও হতাশা থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চাইছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে সারাদেশে। বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপিসহ সবগুলো রাজনৈতিক দল এক বাক্য জানান, তারা কেউ ডক্টর ইউনূসের সরে দাঁড়ানোর পক্ষে নয়। তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল জানিয়েছে, তারা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সুষ্পষ্ট রোডম্যাপ বা পথনকশা চাইছেন।

গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার পদত্যাগের ভাবনার কথা জানান। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার কথা জানাজানি হওয়ার পর সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন মহলে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। দেশবাসীর মধ্যেও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম যমুনায় ছুটে যান। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বেশ কিছু সময় কাটান। সেখানে থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের কথা ভাবছেন। ড. ইউনূস হতাশ এবং ক্ষুব্ধ।

বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কিছু বক্তব্য জনসমক্ষে প্রকাশ পায়। তাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান, তার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য ছিল। এর পরদিনই অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদ ছাড়তে চান, এই আলোচনা আসে। পরের দিন বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় তাঁর পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেন।

জানা যায়, এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা বলেন। প্রায়ই সড়ক আটকে আন্দোলন, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়া, রাষ্ট্রীয় কাজে নানা পক্ষের অসহযোগিতাসহ দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার কথা জানাজানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। যমুনা থেকে বেরিয়ে এনসিপি নেতা নাহিদের বক্তব্যে এই পালে আরও বেশি হাওয়া লাগে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তো ওনার (প্রধান উপদেষ্টা) পদত্যাগ চাই না। আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছি। তিনি কেন সেদিকে যাচ্ছেন না, সেটা আমরা জানি না। এরপরও তিনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে জাতি নিশ্চয়ই বিকল্প বেছে নেবে। কারণ, এটা কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। এ সময় জাতীয় নির্বাচন, করিডর, চট্টগ্রাম বন্দর ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।

ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দেশের স্থিতিশীলতা চাই। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এর জন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া কি অপরাধ? এখনকার পরিস্থিতিতে আমি বলব, সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সবার ধৈর্য ধরা উচিত। বিশেষ করে সরকারের। আর, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতেই এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ - আইন-আদালত