বাংলাদেশ নিয়ে ভারত থেকে প্রচারিত মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়তে সহযোগিতা করেছে প্রধান উপদেষ্টার বিদেশ সফর। বহু পক্ষের বিভিন্ন প্লাটফর্মে বাংলাদেশের বাস্তবচিত্র তুলে ধরে অপপ্রচারের পথ রুদ্ধ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তার বিদেশ সফরগুলোর সবকটিতেই ছিলো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব।
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের অবস্থান শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রপ্রধানরা নানা আমন্ত্রণে বিদেশ সফর করে থাকেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২১টি দেশে সরকারি সফরে গিয়েছেন। আরেকটু দূরের দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন ৩৪টি দেশে। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণের তালিকায় আছে ২৬টি দেশের নাম।
আন্তর্বতী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় সফরে ১৪ বার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। যার বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে অংশ নিতে।
বাংলাদেশ নিয়ে যখন বিভিন্ন দেশের অযাচিত মিথ্যাচার-প্রোপাগান্ডা চলছে, তখন আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে বাংলাদেশের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তুলে ধরেছেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার তার পরিকল্পনার চিত্রও।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহেদুজ্জামান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) জানান, বাংলাদেশ নিয়ে ভারত থেকে চালানো অপপ্রচার মোকাবিলা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিলো। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তা অনেকাংশেই ব্যর্থ প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ১৪টি সফরের প্রত্যেকটি আলাদা গুরুত্ব বহন করলেও চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড সফর ছিলো গুরুত্বের দিক থেকে অপরিসীম। এমন মন্তব্য করেন সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী।
এছাড়া মালেশিয়া ও জাপান সফরে বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর চুক্তির বিষয়টিও বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন তারা।




















