সুখী দেশের তালিকায় আরো পাঁচ ধাপ পিছিয়ে এ বছর ১৩৪তম অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ। আর ভারত ১১৮ ও পাকিস্তান ১০৯তম স্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল আফগানিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের পেছনে। এ বছর তালিকায় থাকা ১৪৭টি দেশের মধ্যে সবার শেষে রয়েছে আফগানিস্তান।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস প্রতিবেদনে এ বছরও সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে ফিনল্যান্ড। এই নিয়ে পরপর ৯ বার এক নম্বর সুখী দেশ হয়েছে ফিনল্যান্ড। দুই নম্বরে আছে ডেনমার্ক। আইসল্যান্ড তৃতীয় এবং সুইডেন চতুর্থ স্থানে আছে।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, সুখী দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র আরো পিছিয়েছে। তারা এখন ২৪তম স্থানে। ২০১২ সালে যখন প্রথমবার এই তালিকা প্রকাশিত হয়, তখন তারা ছিল ১১ নম্বরে।
জার্মানি এবার আমেরিকাকে পিছনে ফেলে সুখী দেশের তালিকায় ২২ নম্বরে আছে। সুখী দেশের তালিকায় একেবারে শেষে আছে আফগানিস্তান, তার উপরে সিয়েরা লিয়োন ও লেবানন।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ ছিলো ১১৮ তম। ১০-এর মধ্যে তিন দশমিক ৮৫১ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে তা কিছুটা পিছিয়ে হয় ১২৯ তম। ২০২৫-এ তারা আরো পিছিয়ে ১৩৪তম স্থানে আছে। বাংলাদেশের একধাপ উপরে ১৩৩তম স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা এবং মিয়ানমার আছে ১২৬তম স্থানে।
২০২৪ সালে ১০-এর মধ্যে চার দশমিক ০৫৪ পয়েন্ট পায় ভারত। এবার পেয়েছে চার দশমিক ৩৮৯ পয়েন্ট। এক নম্বরে থাকা ফিনল্যান্ড পেয়েছে সাত দশমিক ৭৩৬ পয়েন্ট।
সুখী দেশের তালিকা তৈরির জন্য দেশগুলোতে সমীক্ষা চালানো হয়। এক জন মানুষের নিজের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা (তার নিজের বিবেচনা অনুযায়ী), মাথাপিছু মোট গড় জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সুরক্ষা ও সহায়তা পরিস্থিতি, স্বাধীনতা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, গড় আয়ু ও দুর্নীতির মাত্রার উপর নির্ভর করে কোন দেশ কতটা সুখী।
অ্যানালিটিক্স সংস্থা গ্যালপ ও জাতিসংঘের সাসটেনেবল ডেভলাপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।