সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গেলো ঈদের ফিরতি যাত্রায় কিছু দুর্ঘটনা ঘটে, সেজন্য এবার আমরা আরো বেশি সতর্ক রয়েছি। সড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও সড়কের জন্য কোথাও যানজট নেই। কোরবানীর ঈদে পশুবাহি গাড়ির কারণে সড়কে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও ভোগান্তিমুক্ত রাখতে পশুহাটের কারণে রাস্তায় যেনো যানজট তৈরি না হয় সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের দেশে বাজেট সেশন চলছে। এই বাজেট নিয়ে আলোচনা আছে, সমালোচনা আছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও বাজেট আছে। এই বছর ৬৪ দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। আমাদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও নির্বাচন শেষ হয়েছে। বাজেট বাস্তবতা ভারসাম্যমূলক বাজেট।
তিনি আরও বলেন, বাজেট নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা আছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারে উদ্বেগ আছে। কিন্তু সরকার কোন কিছুই গোপন করছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ে ইউরোপও ভুগছে। তাদের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ। আশপাশের দেশগুলোতেও মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন হই কিন্তু অন্যদেশের গুলোও দেখা দরকার।
কাদের বলেন, আমাদের ভোটার টার্নআউট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটার টার্নআউট অনেক কম। বিরোধী দলের ভোট বর্জনের পরও বাংলাদেশে ভোটার উপস্থিতি ৪২ শতাংশ হয়েছে। এটা কম নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে ভুল ত্রুটি আছে। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দূর্নীতিবাজ কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সাহস দেখায়নি বিএনপি। আওয়ামী লীগের সময় ঝিনাদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককেও রিম্যান্ডে আনা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির টপ টু বটম দুর্নীতিবাজ। এখন দূর্নীতিবাজরা দূর্নীতি নিয়ে কথা বলে। তারেক রহমানকে এখন সাদা মানুষ সাজানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। তারেককে সাদা মানুষ বানানোর জন্য গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতিবাজ সংক্রান্ত ৭ ধারা বাতিল করেছে বিএনপি। বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে গিলে খেয়েছিলো। এখন অবস্থা দাঁড়িয়েছে নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা যারা দিতে পারবে সেই সরকারই বিএনপির কাছে বন্ধু।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের এক ধমকে মির্জা ফখরুল সংসদে যান নি। মির্জা ফখরুল নিজেই স্বাধীন নন। তারেক রহমানের নির্দেশ না মেনে যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতো তবে গতবারের মতো এবার তাদের অতো খরা হতো না। তারেক রহমানকে নতুন করে শাস্তি নয়, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা হবে।