স্থলভাগ থেকে আর মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলে ঝড়টি আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জন্য উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক মানুষকে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, গুজরাট উপকূল থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কুচ এবং পাকিস্তানের করাচি উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
এদিকে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতে প্রবল বর্ষণে ইতোমধ্যে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানে ঝড়টি সিন্ধু প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল থেকে ৬২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। স্কুলগুলোতে ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রেহমান বলেছেন, ২০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার প্রদেশের বৃহত্তম শহর করাচি তাৎক্ষণিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ের হুমকিতে ছিল না। তারপরও সেখানে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে ঘণ্টায় ১৩৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে। উচ্চ জোয়ারের কারণে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
‘বিপর্যয়ে’র জেরে গুজরাটের উপকূল এলাকায় অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গুজরাটগামী ৯৫টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। গুজরাট উপকূলে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদেরও নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) ১২টি, রাজ্য সড়ক ও ভবন বিভাগের ১১৫টি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দল উপকূলীয় জেলাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে।