বিপিএলে মানেই যেন ডালাভর্তি অভিযোগের পসরা। দল গঠন থেকে শুরু করে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী। অন্তত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির নবম আসর পর্যন্ত চিত্র ছিল ঠিক এমনই। সেই সাথে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না মেটানোর অভিযোগসহ আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের অনীহা, প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল বিপিএলকে।
তবে দশম আসরে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। শুরু থেকেই ডিআরস সিস্টেম, স্পাইডার ক্যাম ও রোবটিক ক্যামেরার ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। সমালোচনার জবাব আয়োজক কমিটি কিছুটা হলেও দিতে পারলেও আবারও রহস্যময় আচরণ মিরপুরের উইকেটের। দিনের ম্যাচগুলোতে রান না এলেও রাতের ম্যাচে ঠিকই রান পাচ্ছে দলগুলো। তবে উইকেট নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই ক্রিকেটারদের।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বিপিএলের ঢাকা পর্বের খেলা। এখন পর্যন্ত সফল দল খুলনা টাইগার্স। দুই ম্যাচের দু’টিতেই জয় তুলে নিয়ে শতভাগ সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সমান পয়েন্ট থাকলেও তারা খেলেছে এক ম্যাচ বেশি। রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা ও বরিশালের ঝুলিতে ২ পয়েন্ট করে থাকলেও এখনো খাতা খুলতে পারেনি সিলেট।
এখন পর্যন্ত বিদেশি ক্রিকেটারদের চেয়ে দেশি ক্রিকেটাররাই রয়েছেন স্পটলাইটে। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকের তালিকায় ১৫৬ রান করে এক নম্বরে রয়েছেন ফরচুন বরিশালের মুশফিকুর রহিম। ১১৮ রান নিয়ে দুইয়ে আছেন কুমিল্লার ইমরুল কায়েস। আর ১১৭ রান নিয়ে চট্টগ্রামের আফগান রিক্রুট নাজিবুল্লাহ জাদরান অবস্থান করছেন তিনে। তবে পিছিয়ে নেই আনামুল বিজয় ও তানজিদ তামিমরা।
বল হাতেও এগিয়ে দেশি ক্রিকেটাররাই। ঢাকা পর্ব শেষ সমান ৫ উইকেট তুলে নিয়ে এক, দুই ও তিন নম্বরে আছেন যথাক্রমে মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। গড়ে এগিয়ে থেকে শীর্ষে অবস্থান কুমিল্লার বাঁহাতি পেইসার মোস্তাফিজের।
বিপিএলে ৮ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত দেশীয় ক্রিকেটাররা সেরা হয়েছেন ৫ ম্যাচেই। যে তিন ম্যাচে সেরা হয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা সেখানেও ছিল দেশের তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত দাপট।