রেকর্ডের খাতা হয়েছে ওলট-পালট। ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলে সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী পেয়েছেন সর্বোচ্চ ফল। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এতো সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন কোথায়? এবছর পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ শিক্ষার্থী। আসন প্রাপ্তিতে সংকট না হলেও জিপিএ-৫ ধারীরা সিংহভাগই পাবেন না প্রত্যাশীত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ।
তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে প্রায় ১০ হাজার।
আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীর। আর সিংহভাগ শিক্ষার্থী ভর্র্তির সুযোগ পাবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপরও আসন ফাঁকা রয়ে যায় প্রতিবছর। এখানে ভর্তির সুযোগ মিলবে প্রায় ৪ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর। আর ডিগ্রিতে ভর্তির মুযোগ পাবেন প্রায় ৪ লাখ ২১ হাজার।
আবার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাদ্রাসাগুলোতে আসন আছে প্রায় ৬০ হাজার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর বড় সাতটি সরকারি কলেজে আসন আছে প্রায় ২৩ হাজার।
আসন নিয়ে উৎকণ্ঠা না থাকলেও আছে পছন্দসই প্রতিষ্ঠান মেলা নিয়ে। শিক্ষার্থীরা কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কিছু সরকারি কলেজে। আসন সংকট যে হবে না তা জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসি সদস্য ইউজিসির সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, মূল সংকট হলো মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কাঙ্ক্ষিত বিষয় বা কোর্সের স্বল্পতা নিয়ে। আমাদের কারিকুলামে পরিবর্তন আনা জরুরি। কর্মমূখী শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ানো জরুরি।
আবার শঙ্কা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নিয়েও। কারণ এখন পর্যন্ত ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। আবার পরবর্তী ব্যাচের ফল হওয়ায় দুই বর্ষের শিক্ষার্থীই দীর্ঘসূত্রীতায় আটকে গেলেন। ইউজিসি সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, প্রশাসনিক দুর্বলতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি করেছে। আগের দুর্বলতা কাটিয়ে এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।