সোমবার , ২৬ জুন ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ব্যাংক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ২৬, ২০২৩ ১২:৫১ অপরাহ্ণ

জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী দলের সংসদ-সদস্যরা বলেছেন, ব্যাংকে লুটপাট চলছে। ব্যাংক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ঋণখেলাপিরা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। শেয়ারবাজার ধসে পড়েছে। অথচ সরকার সব জেনেও নির্বিকার। তারা কিছু বলছে না। লুটেরাদের ধরছে না। কারণ বড়লোকরা তাদের বন্ধু। দুর্নীতিবাজ-লুটেরারা সরকারের বন্ধু, মন্ত্রী-এমপিদের বন্ধু। তাই তারা ধনীদের কিছু বলে না। ধনীদের ধরে না। লুটেরাদের ধরে না। তারা গরিবের ওপর কর বসায়। গরিবদের ধরে। সাধারণ মানুষের ওপর কর বসায়। সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে।

রোববার জাতীয় সংসদে আর্থিক বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। তবে বিরোধীদের এসব সমালোচনার কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিরোধী দলের সদস্যরা তার এই নীরব থাকারও তীব্র সমালোচনা করেন।

তারা বলেন, আমরা এত কথা বলছি। এত সমালোচনা করি। অথচ অর্থমন্ত্রী কোনো কথারই জবাব দিচ্ছেন না। এই নীরব থাকা ও চুপ থাকা তার ভালো গুণ। কথায় আছে, সবচেয়ে ভালো চুপ থাকা। অর্থমন্ত্রী এই নীতিই হয়তো অবলম্বন করছেন।

বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশে এখন ধনী লোকের অভাব নেই। তাদের হাতে এত টাকা যে গুনে শেষ করা যাবে না। চারদিকে এত রিসোর্ট, এত বাগানবাড়ি, এত এত ফাইভ স্টার হোটেল। কারা এর মালিক। অর্থমন্ত্রী এদের ধরেন না। এদের ওপর কর বসান না। তিনি কর বসান গরিবের ওপর। ধনীদের কেন ধরেন না, কারণ তারা তার বন্ধু। সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বন্ধু। .

চুন্নু আরও বলেন, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। কানাডায় বেগমপাড়া হচ্ছে। মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম হচ্ছে। বিশ্বের সব নামিদামি ব্যান্ডের গাড়ি দেশে আসছে। কারা এসব গাড়ি আনছে, কিনছে। আর কারা এসব গাড়িতে চড়ছে। অর্থমন্ত্রী সব জানেন। কিন্তু এদের তিনি ধরেন না। কারণ তারা মন্ত্রী-এমপিদের বন্ধু-বান্ধব, কারও না কারও আÍীয়স্বজন। এজন্য এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, লুটপাটকারীদের ধরেন। পাচারকারীদের ধরেন। তাহলে সরকারের টাকার অভাব হবে না। বিদেশ থেকে তো একবার কিছু টাকা এনেছেন। বাকি টাকা আনছেন না কেন। সিঙ্গাপুরে নাকি এদেশের কারা মার্কেট করেছেন। তারা কারা, খবর নেন। তাদের ধরেন। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী চাইলে দেশের বাইরে তার লোক পাঠাতে পারেন। অনুসন্ধান করাতে পারেন। কিন্তু তিনি তা করবেন না। করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন। কিন্তু পরদিনই দাম বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মুজিবুল হক চুন্নু। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িত কিনা এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বাজার একটু নিয়ন্ত্রণ করেন। আসলে বাজারে নিয়ন্ত্রণটা লাগবে, নিয়ন্ত্রণ নেই।

জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সরকারি দল চায় আমরা তাদের ভাষায় কথা বলি। এটা তো ঠিক নয়। সংসদ তো জনগণের। আমাদের অর্থাৎ বিরোধী দলের কাজ সরকারের সমালোচনা করা। সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরা। আমরা এই কাজটিই করছি। আজ যদি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের আসনে থাকতেন, তারা আমাদের চাইতেও অনেক বেশি সরকারি দলের সমালোচনা করতেন। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে লুটপাট চলছে। ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। সরকারও নিশ্চুপ।

কাজী ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, দেশের মানুষ তার ওপর আস্থা রাখেন। কিন্তু তার মন্ত্রী-এমপিদের কথার ওপর জনগণ আস্থা রাখে না। গ্রামে এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা নেই। মানুষ চাষাবাদ করছে। উৎপাদন করছে। আমরা নিয়মিত গ্রামে যাই। মানুষের খবর রাখি। দেশের মানুষ ভালো নেই। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। মানুষের আয় নেই। যা আয় করেন, তার চাইতে ব্যয় তাদের বেশি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক