দেশের সমুদ্র ও নদীবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এতে প্রতিযোগিতা ও সেবা বাড়বে। বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে দেওয়ার সঙ্গে রাজনীতি টেনে আনা ঠিক নয় বলে মনে করে, বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠন- পোর্ট ইউজার্স ফোরাম।
দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানির ৮০ শতাংশই হয় চট্রগ্রামসহ অন্যান্য সমুদ্র বন্দর দিয়ে। তবে এসব বন্দরের সেবার মান, দুর্নীতি এবং পণ্য খালাসে ভোগান্তি নিয়ে বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
সাম্প্রতিক সময় চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া এবং ঢাকার পানগাঁও নৌ বন্দর কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালানায় বিদেশি দুই প্রতিষ্ঠানের সাথে ১০ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়াও নিউমুরিংসহ আরও কিছু টার্মিনাল বিদেশি পরিচালনায় ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া এসব সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ। তারা বলছে, এতে করে সেবার মান বাড়লে দেশেরই উপহার হবে।
তৈরি পোশাক খাতের মালিকরা বলছেন, বিদেশিরা বন্দর পরিচালনা করলে তাদের কাঁচামাল এবং তৈরি পোশাক জাহাজীকরণ এবং খালাসে হয়রানি কমবে। ইতোমধ্যেই যার প্রমাণ মিলেছে, সৌদি পরিচালনায় পতেঙ্গা বন্দরের পরিচালনা ও সেবায়।
চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বিদেশিদের দ্বারা বন্দর ও কন্টেইনার পরিচালনা দোষের কিছু নয়। এতে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে এবং বিদেশি শিপিং লাইনসগুলো বেশি করে বাংলাদেশমুখী হবে।
বর্তমানে বৈশ্বিক তালিকায় একশ সমুদ্র বন্দরের মধ্যে কন্টেইনার পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৮তম।


















