শনিবার , ৭ মে ২০২২ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ভোট না দেওয়ায় কৃষককে ধান কাটতে দিচ্ছেন না আ’লীগ নেতা

প্রতিবেদক

মে ৭, ২০২২ ৯:০১ পূর্বাহ্ণ

গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অভিযোগে নাটোরের সিংড়ায় শ্রী সুশেন কুমার প্রামাণিক নামে এক কৃষক সপরিবারে একঘরে হয়ে আছেন। তার আড়াই বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে দেওয়া হচ্ছে না।

ফলে তার জমিতে পাকা ধান পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যের শ্যালো মেশিন থেকে পানি সেচ দিতে না পেরে ওই কৃষকের প্রায় ১০ কাটা জমির মরিচগাছ ও সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের দুর্গম বেলগাড়ি গ্রামে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হচ্ছেন— দুলাল চন্দ্র ও স্থানীয় আ’লীগ নেতা বিকাশ সরকার।

ভুক্তভোগী কৃষক শ্রী সুশেন কুমার প্রামাণিক অভিযোগ করে বলেন, গত নির্বাচনে ফ্যান প্রতীকের ভোট না করে মোরগ প্রতীকের ভোট করায় আমার জমির ধান কাটতে দেওয়া হচ্ছে না। চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তবে সুশেনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্র দাবি করেন, গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। প্রায় চার মাস আগে থেকেই গ্রামবাসী বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তেই ওই কৃষক এখন একঘরে।

তবে অভিযোগ স্বীকার করেননি আওয়ামী লীগ নেতা বিকাশ সরকার।

গ্রামের শ্রমিকদের ওই কৃষকের ধান কাটতে নিষেধ করেছেন স্বীকার করে তিনি বলেন, বেলগাড়ি গ্রামে ৬৩ ঘর বসতি রয়েছে। আমরা ৬২ ঘর ওর সঙ্গে মিশি না। তাতে আমরা ৬২ ঘর ভালো হলেও ভালো, আর খারাপ হলেও খারাপ।

তবে অন্য জায়গার শ্রমিক এসে ওই ধান কেটে দিলে তাদের কোনো আপত্তি নেই বলে জানান তিনি।

শুক্রবার সরেজমিন বেলগাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক শ্রী সুশেন কুমার প্রামাণিকের প্রায় আড়াই বিঘা জমির পাকা ধান মাঠে পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া সেচ দিতে না পারায় মরিচগাছ ও সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।

পাশের জমিতে কাজে ব্যস্ত শ্রমিক শ্রী অতুল বলেন, গ্রামের মাতবররা নিষেধ করায় কেউ আর তার জমির ধান কাটতে রাজি নয়।

ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত শ্রী বিমান বলেন, শুনেছি মরিচ ও সবজিতে সেচ দিতে দিচ্ছে না। আর এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।

এ বিষয়ে গ্রাম্য প্রধান শ্রী সুকেশ চন্দ্র বাবু বলেন, গ্রামবাসীকে ডেকে ক্ষমা চাইলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

এ বিষয়ে সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কাউকে এক ঘরে করে রাখা বা ধান কাটতে শ্রমিকদের নিষেধ করা এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়।

এ বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান বিষয়টি জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক