৪৩ ধরনের পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতসহ অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরবে।
শিক্ষা স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ কমবে না বরং বাড়বে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
গেলো ৫ মাসের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ এর ঘর ছাড়িয়েছে। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১৪’র ঘর ছুঁয়েছে। নভেম্বরেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি দুইয়ের ঘরেই আছে।
এমন বাস্তবতায় অন্তর্বর্তী সরকার যখন পাঁচ মাস পার করছে তখন বছরের প্রথমদিনেই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে। যেখানে বলা হয়েছে, মিষ্টি কিংবা পোশাক কিনতে গেলে সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ কিংবা বিদেশ ভ্রমণেও খরচ বাড়বে।
বৃহস্পতিবার ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভাশেষে অর্থ উপদেষ্টা জানান, নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে অস্বস্তির কিছু নেই।
কেনো দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাস পর এই সিদ্ধান্ত? তাহলে কি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তেই কি এই সিদ্ধান্ত?
এর জবাবে, চলতি নতুন বছরে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দেওয়া হবে। বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, বাড়তি রাজস্ব আদায়ে সিগারেট, মদ, পোশাকের শো-রুম, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের বিমান টিকিট, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ড্রিংসসহ ৪৩ পণ্যের ওপর শুল্ক-ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এ প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে শিগগিরই অধ্যাদেশ জারি করে কার্যকর করা হতে পারে।