শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনা হয়েছে। এসময় মন্ত্রী নানা আশ্বাসসহ শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাদের এ অনুরোধ জানান।
তবে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে অনড় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে আবারও আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন তারা।
গত রাতে শিক্ষামন্ত্রী-শাবি শিক্ষার্থী বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের যেন আইনগত ও অ্যাকাডেমিক কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়, সেটা তিনি দেখবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করেছেন। তরুণরা আমাদের দেশের সম্পদ তাই তাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয় শিক্ষামন্ত্রী বারবার এ বিষয়টি তাদের বলেছেন। তিনি সমসময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন।
ভিসির পদত্যাগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে আগামীকাল আন্দোলনকারীরা লিখিতভাবে প্রস্তাবনা পাঠালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো কথা বলেননি। তারা বলেছেন, সবার সঙ্গে কথা বলে তারা আগামীকাল জানাবেন।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘এরই মধ্যে অনশনরত ২৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা আর বেশি অবস্থান করলে অসুস্থতার সংখ্যাটা বাড়বে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
তিনি বলেন, আমরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলোচনা শুরু করি। ১টার দিকে বৈঠক শুরু করি। সোয়া একঘণ্টা বৈঠক হয়। ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে বৈঠক শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন জানান, তারা আলোচনা করতে আগ্রহী, তবে অনশন ভাঙবেন না। আজ (রবিবার) আবারও মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে জানানো হয়, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তারা পুরো ঘটনাপ্রবাহ বলেছেন। সব শুনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এটা সমাধান করতে তো একটু সময় লাগতে পারে। আমরা যেন আপাতত অনশন বন্ধ করি এবং আলোচনা চালিয়ে যাই। আমাদের অনশনরত শিক্ষার্থীরা তখন শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, আমরা একটি দাবিতেই থাকতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত ভিসি পদত্যাগ না করবে আমরা অনশন চালিয়ে যাব। মন্ত্রী তখন আমাদের বলেছেন, আলোচনা চালিয়ে যাই। আমরা তাতে সায় দিয়েছি।
তারা আরও বলেন, কাল হয়তো আবারও এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হতে পারে। দুপুর একটার পর শিক্ষামন্ত্রী ফ্রি হবেন। তখন আমরা আলোচনায় বসতে পারি। আলোচনার মাধ্যমে অন্য পথ বের করার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে আমরা বলেছি, এই ভিসির ক্যাম্পাসে থাকাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি। ভিসি না সরলে অনশন চলবে।