ময়মনসিংহের তারাকান্দায় হিজবুল আলম জিয়েস নামে এক ছাত্রদল নেতার ‘টর্চার সেল’-এর সন্ধান মিলেছে। সেখানে গান বাজিয়ে সাধারণ মানুষকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জিয়েস (২৬) বানিহালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং মাঝিয়ালি গ্রামের বাসিন্দা। তাকে সাময়িকভাবে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামুন সরকার নামের এক ভুক্তভোগী সোমবার তারাকান্দা থানায় মামলা করলে পুলিশ জিয়েস ও তার দুই সহযোগী রাফি (১৯) ও আবদুল্লাহকে (২০) গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, মাঝিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে জিয়েসের মাছের খামারে তৈরি এই টর্চার সেলে দেশি অস্ত্র, নির্যাতনের সরঞ্জাম ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ৮ আগস্ট এক দোকানদারের কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে দোকান বন্ধ করে দেন জিয়েস। পরদিন প্রতিবাদ করায় মামুনকেও মারধর করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নির্যাতন চালাতেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত বছরের আগস্ট থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন জিয়েস।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, জিয়েস ও তার সহযোগীরা স্থানীয় দুই যুবককে মারধর করছেন। রাসেল মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী জানান, তাকে আটকে রেখে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়, পরে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বানিহালা ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদল নেতারা জানিয়েছেন, জিয়েসের অপকর্মে তারা জড়িত নন এবং এর বিচার চান। তারাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত চলছে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা ও তার দুই সহযোগীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টর্চার সেল থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প আদালতে প্রমাণ হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।












The Custom Facebook Feed plugin