শুক্রবার , ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

মহাঅষ্টমী, ঢাক-ঢোল আর উলুধ্বনিতে চলছে দেবীর আরাধনা

প্রতিবেদক
Newsdesk
অক্টোবর ১১, ২০২৪ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাক-ঢোল, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ইতোমধ্যে মহাসমারহে শেষ হয়েছে মহাসপ্তমীর আনুষ্ঠানিকতা।

শুক্রবার মহাঅষ্টমী। এদিনের মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা ও সন্ধিপূজা। এবার সন্ধিপূজা হবে সকালে। সকাল পৌনে ৭টা থেকে ৭টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে এ পূজা সম্পন্ন হওয়ার কথা।

মহাষ্টমীর দিন সকাল থেকেই দেবী দুর্গার মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হবে। সকাল ৯টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। কুমারী বালিকার মধ্যে বিশুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে এ পূজা করেন ভক্তরা। এরপর দুপুরে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ।

হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত এক থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা ব্রাহ্মণ বা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কুমারী নারীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। শ্রীরাম কৃষ্ণের কথামতে, কুমারী পূজার বিষয়ে বলা হয়েছে—শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর রূপ বেশি প্রকাশ পায় এবং মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য।

শাস্ত্রমতে, এক বছর বয়সী কন্যাকে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কলিকা, পাঁচে সুভাগা, ছয়ে উমা, সাতে মালনী, আটে কুজ্বিকা, নয়ে কালসন্দর্ভা, দশে অপরাজিতা, এগারোতে রুদ্রানী, বারোতে ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দতে পীঠ নায়িকা, পনেরোতে ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোলো বছরে তাকে অন্নদা নামে অভিহিত করা হয়।

নির্বাচিত কুমারীকে মহাষ্টমীর দিন ভোরে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। তাকে দেবীরূপে সাজিয়ে কপালে সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল দেওয়া হয়। এরপর কুমারীকে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপাচারে (ষোলো উপাদান) দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। এ সময় শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বোল, উলুধ্বনি আর দেবী স্তুতিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক।

সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনা পুজোই হলো সন্ধিপূজা। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। নবমীর দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতে উৎসব শেষ হয়। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে এ রাতে।

বিজয়া দশমীর দিন রবিবার বিকাল ৩টার পর থেকে প্রতিমা বিসর্জনের কথা বলা হয়েছে। রাজধানীতে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃত্বে পলাশীর মোড় থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা বের হয়ে সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, ঢাকা মহানগরে এবার ২৫২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর পূজার আয়োজন হয়েছিল ২৪৮টি মণ্ডপে। সে হিসেবে এবার ঢাকা মহানগরে ৪টি পূজামণ্ডপ বেড়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক