রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১৪তম দিন আজ। আর এই যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের ১২ বছরের আলেকজান্দ্রা এবং তার সঙ্গে থাকা ছয় বছর বয়সি ছোট বোন এসিয়ার একটি ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷
মাকে বিদায় জানানোর সময় বাসের কাচের জানালা যেন ঠাণ্ডার পাশাপাশি ঝাপসা হয়ে গেছে এসিয়ার চোখের পানিতে৷ মাকে ছেড়ে যেতে কেঁদে ভাসাচ্ছে শিশুটি।
ইউক্রেনের বন্দর শহর ওডেসাতেই রয়ে গেলেন তাদের মা, ইরিনা৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর থেকে মেয়েদের পাঠিয়ে দিলেন নিরাপদ আশ্রয়ে৷ খবর আইনিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলেকজান্দ্রা-এসিয়ার আর্তনাদের ছবি কেড়েছে নেটিজেনদের মন৷ অবশ্য এ ছবি প্রতীক মাত্র৷ রুশ আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ইহুদি সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ বাসে করে চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে৷
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এখনও পর্যন্ত এক দশমিক ৭ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় পালিয়েছেন মধ্য ইউরোপে৷ তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী-শিশু৷ কারণ প্রাপ্তবয়স্করা থেকে গেছেন ইউক্রেনে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে৷
ইউরোপের মধ্যে পোল্যান্ড সব থেকে বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে৷ গত ২৪ ফেব্রুয়ারির পর পোল্যান্ডে ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ মিলিয়ন৷ তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু৷ পরিবারের পুরুষরা রয়ে গেছেন ইউক্রেনে, যুদ্ধে শামিল হওয়ার উদ্দেশে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের ধারণা, যদি এই রুশ হানা চলতেই থাকে, তা হলে ইউক্রেন ছেড়ে পালানো শরণার্থীর সংখ্যা হবে ৫ মিলিয়ন৷ শুধু মধ্য ইউরোপই নয়; ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের অনেকেই পৌঁছে গেছেন বেলজিয়াম, জার্মানির মতো পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোতেও৷
মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড সহমর্মিতার চোখেই দেখছে ইউক্রেনের শরণার্থী সমস্যাকে৷ ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তের নিকটবর্তী শহর প্রজেমাইসলে সব থেকে বেশি শরণার্থীর ঢেউ৷ তবে শহরের প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের৷ বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে শিশুদের জন্য৷