বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) বিদ্রোহের মামলার বিচার কার্যক্রম বকশীবাজার অস্থায়ী আদালত থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় বকশীবাজার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত ভবনের অস্থায়ী আদালত মামলা পরিচালনা করার কথা থাকলেও পুরান ঢাকার বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত না বসানোর দাবিতে সড়কে নেমেছেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাতভর আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় ও আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রেখেছেন। তাতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এসময় আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আর অস্থায়ী আদালত বসতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তিন মাসের কথা বলে ২০১২ সাল থেকে এখানে চলছে অস্থায়ী আদালত। ফলে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে তাদের।
তারা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে প্রশাসনকে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতে মূল ফটকের তালা কেটে ভেতরে ঢুকতে চাইলে রাত থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা।
এসময় অস্থায়ী আদালত না সরানো পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা।
আলিয়া মাদ্রাসার মাঠকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সংস্কার কাজ শেষে ‘বকশীবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ’ হিসেবে উদ্বোধন করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মাঠটি সিটি কর্পোরেশন দখল করছে-এমন অভিযোগ তুলে উদ্বোধনের আগেই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি ওঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।