সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আখতারকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিতদের খালাসের রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এনেক্স ভবনের সামনে ব্রিফিংয়ের আগ মুহূর্তে এই হামলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, রায় ঘোষণার পর অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকরা আইনজীবীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ পাবনা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে এক যুবক সাংবাদিকদের ঠেলে ডায়াসের সামনে ঢুকে পড়েন এবং তর্কে জড়ান। এ সময় পাবনা থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। এতে বেশি আহত হন সাংবাদিক জাবেদ আখতার।
পরে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পাশাপাশি ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিক জাবেদ আখতারকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাম্বুলেন্সে করে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে পাঠান।
হাসপাতালে জাবেদ আখতারের সঙ্গে থাকা এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এ কে এম রফিকুল হাসান (হাসান জাবেদ) জানান, জাবেদ আখতারকে হাসপাতালে ভর্তি করে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকরা ব্রিফিং বর্জন করে অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আইন, বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন এক বিবৃতিতে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনোভাবে কাম্য নয়। জড়িতদের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।