শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের দেবী কালীর মাথার মুকুট চুরির ঘটনায় প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবিকে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলার পর বিষয়টি ডিবি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা চারজনকে আটক করেছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজের যুবককে শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় উল্লেখ্য করেন, যশোরেশ্বরী মন্দির একটি তীর্থস্থান। ১৮০৯ সাল থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা মন্দিরটি পরিচালনা করছেন। গত ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদি মন্দির পরিদর্শনকালে দেবীর মাথায় রুপার ওপর সোনার জলের রং করা একটি মুকুট পরিয়ে দেন। প্রায় ৩০ ভরি ওজনের ওই মুকুটের মূল্য প্রায় লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জীর কাছে মন্দিরের চাবি থাকে। তবে পরিচ্ছন্নতার জন্য মাঝেমধ্যে রেখা রানীকে পুরোহিত চাবি হস্তান্তর করেন। এমন এক অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর আগত ভক্তদের সেবা দেওয়ার সময় মন্দিরের চাবি খুলে কাজের সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মী রেখা অসাবধানতাবশত বাইরে চলে যান। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেবীর মাথা থেকে মুকুট খুলে নিয়ে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে এক যুবক মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমার মাথায় থাকা স্বর্ণের মুকুট খুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসিটিভির ফুটেছে ধরা পড়েছে।
২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শন করেন। ওই দিন তিনি নিজ হাতে কালী প্রতিমার মাথায় স্বর্ণের মুকুটটি পরিয়ে দেন।