লিওনেল মেসিকে ছাড়াই পেরুর বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিলো আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকায় পেরুকে ২-০ গোলে হারালো ডি মারিয়ার। টানা তিন জয় তুলে নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আলবিসেলেস্তেরা।
লাউতারো মার্তিনেসের তিনে তিন। স্কোর শিটে নাম তুলেই ক্যাপ্টেনেই কাছেই ছুট। যেতেই হতো, খারাপ সময়ে ভরসার শক্ত হাতটা এই মেসিইতো রেখেছিলেন মার্তিনেসের কাধে। তাইতো কাতারের সেই ট্রোল হওয়া মার্তিনেজ আজকের ম্যাচ উইনার।
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ইনজুরির কারণে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে থাকছেন না লিও আগে থেকেই ছিলো জানা। তবে বেঞ্চে বসা মেসিকে মন কি আর মানতে চায়। পেরুর বিপক্ষে টিকবে তো অপরাজিত থাকার তকমা। শুধুই কি মেসি, ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পলদের ছাড়াই পেরুর বিপক্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের একেবারে শুরুতেই পেরুর লাগাম টানার চেষ্টা আর্জেন্টিনার। ১ মিনিটের মাথায় ইয়াংস্টার গারনাচোর কর্নার আদায়। ডেডৈক ভাঙার প্রথম মোক্ষম সুযোগ আসে ১২ মিনিটে। দুর্দান্ত সুযোগ পেয়ে বসেন ওতামেন্দি তবে হতাশ করেন।
ম্যাচ জুড়ে পেরুর পাত্তাই ছিলো না। অবশেষে ২১ মিনিটে আর্জেন্টিনার হাফে ফ্রি-কিকি আদায়।
মিনিট তিনেক বাদেই গোর। ডেন চান্স আর্জেন্টিনার। পারাদেসের অন টার্গেট শট আটকে দেন পেরুর গোলকিপার।
প্রথমবার্ধের শেষ মুহূর্তে আবারো বাধার দেয়াল তুলে দাড়ান পেরুর গোলকিপার। ফার্স্ট হাফে স্কোরলঅইন জিরো জিরো রেখে হিরো বনে গেলেন পেদ্রো গায়াসি।
ব্রেকের পরই ধামাকা নিয়ে ফেরেন গেলো দুই ম্যাচের স্কোরার লাউতারো মার্তিনেস। ডি মারিয়ার অ্যাসিস্টে ভাঙেন ডেডলক। স্বস্তি ফেরে আলবিসেলেস্তেদের ঘরে।
এক গোলের ভরসা কই। চাপ বাড়ায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু হায় ৭১ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন পারাদেস। নাম লেখালেন ইতিহাসে। গেল ২৫ বছরে আর্জেন্টিনার জার্সিতে কোপা আমেরিকায় প্রথম পেনাল্টি মিস করার বাজে রেকর্ড গড়লেন।
ম্যাচজুড়ে চলে আর্জেন্টিনার একছত্র আধিপত্য। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৭৪ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে পেরু দখলে রাখে মোটে ২৬ শতাংশ। পেরুর গোলমুখে আর্জেন্টিনা করে ১২টি শট, পেরু তার অর্ধেক। অনটার্গেট শটেও ঢের এগিয়ে ডি মারিয়ারা।
ম্যাচ যখন প্রায় শেষে পথে আবারো হাজির মার্তিনেস। ২ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ৬ ম্যাচে ৭ গোল করলেন লাওতারো মার্তিনেজ। ৪ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাও এই স্টাইকার।
বাকি সময়ে আর গোলের দেখা না পেলেও দুই গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের আর্জেন্টিনা।