ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে আগের ম্যাচে নঁতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল পিএসজি। তবে এক ম্যাচ বাদেই আবারও জয়ে ফিরল মেসি-এমবাপ্পেরা। শনিবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দ্যা প্রিন্সেসে সেন্ট এতিয়েনকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বাকি একটি গোল দানিলো পেরেরার। এ ম্যাচে গোলের দেখা না পেলেও এমবাপ্পের দুই গোলে সাহায্য করেছেন লিওনেল মেসি। ২৬ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান আরো পাকাপোক্ত করল পিএসজি। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ষোলোতম স্থানে সেন্ট এতিয়েন।
ঘরের মাঠে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে একাদশ সাজিয়ে আক্রমণাত্মক খেলার পরিকল্পনায় নামে পিএসজি। কিন্তু সে লক্ষ্যের শুরুতেই গোল হজম করে ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। তবে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি পিএসজি। প্রথমার্ধে সমতায় ফেরার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক মাউরোসিয়ো পচেত্তিনোর দল। দ্রুত দুই গোল করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় পিএসজি। এদিকে ৫-৪-১ ফর্মেশনে নেমে রক্ষণেই বেশি মনোযোগ ছিল এতিয়েনের। তবে সুযোগ বুঝে বেশ কয়েকবার পিএসজির রক্ষণ কাপায় এতিয়েনের ফরোয়ার্ডরা। তবে পায়নি দরকারী গোলের দেখা।
ম্যাচে ৬২ ভাগ বলের দখল ছিল পিএসজির পায়ে। প্রতিপক্ষের পোস্টে ২১টি শট নিয়ে ৮টি লক্ষ্যে রাখে মেসি-এমবাপ্পেরা। ৩৮ ভাগ বল দখলের পাশাপাশি ১৩টি শটের ছয়টি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় সেন্ট এতিয়েন।
১৬ মিনিটে দেনিস বাওয়াঙ্গার গোলে এগিয়ে যায় সেন্ট এতিয়েন। পিএসজির বক্সের সামনে দানিলো পেরেরার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই গ্যাবনের ফুটবলার। ৪২ মিনিটে লিওনেল মেসি ও এমবাপ্পের রসায়নে সমতায় ফেরে পিএসজি। মেসির নিঁখুত পাস ধরে বক্সে ঢুকে গতির শটে এতিয়েনের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বিরতি থেকে ফিরে আবারো মেসি-এমবাপ্পে জুটির ঝলক। বক্সের সামনে থেকে মেসির বাড়ানো পাস দৌড়ে এসে দুরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করে পিএসজির ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। চলতি লিগে এটি তার ১৪তম গোল। ৫২ মিনিটে ৩-১ ব্যবধান করে ফেলে পিএসজি। এই গোলেও অবদান রেখেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বাঁ দিক থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পের বাঁকানো ক্রস দূরের পোস্টের সামনে থেকে হেডে বল জালে জড়ান দানিলো। শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সু্যোগ পায় পিএসজি কিন্তু গোল করতে পারেনি লিওনেল মেসি-দি মারিয়ারা।