ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় দগ্ধ অন্তত ৪৮ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোসহ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। এতে প্রায় হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় ভেড়ানো হয়।
লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।