বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শেকড়ের টানে বাড়িমুখী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এতে চাপ পড়েছে বিভিন্ন মহাসড়কে। পরিবহনের চাপ বাড়ায় সাভার ও আশপাশের তিনটি সড়ক-মহাসড়কে প্রায় ৩৩ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লেগে যাচ্ছে ২-৩ ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেখা যায় সাভারের নবীনগর থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে ধউর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে প্রান্তিক গেট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কোথাও পরিবহনগুলো একদম থেমে আছে, কোথাও একটু একটু করে চলছে। তবে চলার গতি এতই মন্থর যে ১০ মিনিটে হয়ত কোনো গাড়ি ১০ মিটার পথ এগোতে পারছে।
বাইপাইল থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে বাসে উঠেছেন পোশাক শ্রমিক ছোটন সরকার। তিনি বলেন, বাইপাইলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাড়িতে উঠেছি। শ্রীপুর পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা লেগেছে। স্বাভাবিক সময়ে এটি ছিল ৫ মিনিটের পথ। শুনছি যানজট চন্দ্রা মোড় পার হয়ে আরও সামনের দিকে চলে গেছে। মনে হচ্ছে চন্দ্রা পার হতে রাত ১টা বেজে যাবে।
আরেক বাসের যাত্রী সুফিয়ান বলেন, সন্ধ্যা থেকে একই জায়গায় বসে আছি। অতিষ্ঠ হয়ে গেছি, যেমন গরম, তেমনি যানজট। শাখা সড়কগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে। আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। জানতাম যানজট হবেই, তাই আগে ভাগে বের হয়েছি। তবু রক্ষা হলো না। এখন ঈদের আগে বাড়ি পৌঁছতে পারলেই হলো!
রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে রাজশাহী যাচ্ছে একটি পরিবার। চালক শাহজালাল বলেন, আমরা লোকাল গাড়ি ঢাকায় চালাই। যানজটে বসে থাকার অভ্যাস আছে। কিন্তু যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। আশুলিয়া থেকে বাইপাইল এলাম ৩ ঘণ্টায়। এই যানজট ভোর পর্যন্ত গড়াতে পারে। যানজটে আটকা পড়েছে অনেক গাড়ি। এখন তো মনে হচ্ছে চন্দ্রা যেতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। যাই হোক দ্রুত যানজট নিরসন হোক এটাই কামনা করি।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানা পুলেশের অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, প্রচুর মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। মানুষের চাপের সঙ্গে গাড়ির চাপও রয়েছে। তবে গাড়ি থেমে থেমে হলেও যাচ্ছে, একেবারে থেমে নেই। আমরা চেষ্টা করছি গাড়ির গতি বাড়ানোর জন্য। যথেষ্ট লোকবল আমাদের কাজ করছে।