যুদ্ধ মানেই ধ্বংস, যুদ্ধ মানেই দুঃখ, যুদ্ধ মানেই মন খারাপ করা সব গল্প। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধও এর ব্যতিক্রম না। যত দিন যাচ্ছে ততই মন খারাপ করার মতো সব খবর আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে।
যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি।
এজন্য যদি ক্রিমিয়া দ্বীপ ও সদ্য রুশ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ডের দুই দেশ দনেতস্ক ও লুহানস্ক প্রশ্নে আপস করতে হয়, তাতেও রাজি তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এ তিন বিষয়ে শিগগিরই আলোচনা করতে চান জেলেনস্কি।
মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আমার দেশ ও জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ক্রিমিয়া ও ডনবাস রিপাবলিকে রুশদের পাশাপাশি অনেক ইউক্রেনীয় এখনও বসবাস করেন। আমি আমার নিজের দেশ ও জনগণের পাশাপাশি ওই অঞ্চলগুলোতে বসবাসরত ইউক্রেনীয়দের নিয়েও উদ্বিগ্ন। এটা ডনবাস নামের ওই ছদ্ম প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতির চেয়েও বেশি গুরুত্ববহ।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে একটি সমঝোতায় যেতে পারি। ক্রিমিয়া ও ডনবাসে বসবাসরত ইউক্রেনীয়দের জানমালের নিরাপত্তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মধ্যে অনেকে হয়তো ইউক্রেনে ফিরে আসতে চান। এসব অঞ্চলের জনগণ ও জনজীবনের নিরপত্তার স্বার্থে আপস হতেই পারে।’
এরপর নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন জেলেনস্কি, ‘তবে আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি, আত্মসমর্পণের জন্য নয়।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ আগ্রাসনের ১৩দিন পার হয়ে গেল। এই প্রায় ২ সপ্তাহে প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় প্রায় ২০ লাখ ইউক্রেনীয় আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ দিনের সামরিক অভিযানে ইউক্রেনে সাড়ে সাড়ে ৪ শ’র বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।