মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আরাকান আর্মি ও অপর দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, এবার তারা পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এ লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও তীব্র লড়াইয়ে নামবে।
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী শীর্ষ জেনারেলদের পদে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে। নতুন উদ্যমে জান্তা বাহিনী রাখাইনে বিদ্রোহী জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রাখাইনে আরও অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র-গোলাবারুদও পাঠানো হবে।
মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ, তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ এবং আরাকান আর্মি-এএ সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স। গত অক্টোবরে শান রাজ্যে এই জোট জান্তাবিরোধী অভিযান শুরু করেছে।
এরইমধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে আরাকান আর্মি। জান্তা বাহিনী ব্যাপকভাবে জল, স্থল ও আকাশপথে হামলা চালালেও আরাকান আর্মিকে পিছু হটতে বাধ্য করতে পারেনি। বরং বিদ্রোহীদের মুর্হুমুহু হামলায় জান্তা বাহিনীর প্রায় ৪ শতাধিক সেনা ভারতে পালিয়ে গেছে। এই অবস্থায় নতুন করে সমুদ্রপথে রাখাইনে সেনা পাঠাচ্ছে জান্তা সরকার।
এছাড়া, সম্প্রতি কায়ুকতাও, মিনবে, রামরি এবং রথিডংয়েসহ ছয়টি এলাকায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির ব্যাপক লড়াই চলছে। বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সেনারা এসব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে।
এর মধ্যে কায়ুকতাও হামলা চালিয়ে আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নকে হারিয়ে দিয়েছে। প্রায় ৩০০ সেনা ও তাদের পরিবার আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এক সেনা কর্মকর্তা আটকও হয়েছে।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহরটির দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এই শহর প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে বাণিজ্যের চাবিকাঠি।