রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় ধরনের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৬টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণায় ৮৮ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন লিটন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৫০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬১৮ ভোট।
বর্তমান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এর আগে দুইবার ২০০৮ ও ২০১৮ সালে রাজশাহী সিটির মেয়ার নির্বাচিত হন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সারাদিন ভোট শেষে গণনা চলছে ফল ঘোষণা।
রাজশাহীতে মোট ভোট শেষে নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, তারা সন্তুষ্ট বোধ করছেন।
রাজশাহীতে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চারজন। এদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেরিতে দেয়ায় প্রার্থীর নাম ব্যালটে থেকে যায়।
রাজশাহীতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। মেয়র ছাড়াও ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এই ভোটে নির্বাচিত হবেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা অবাধে, নির্বিঘ্নে এসে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোনো বাধা পেয়েছে বলে শুনিনি, তথ্য পাইনি।
এ ধরনের নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়াকে ‘গুড এনাফ’ বলে মন্তব্য করেন সিইসি বলেন, ৬০-৭০ শতাংশ হলে তা চমৎকার হবে।
রাজশাহীতে ২০০৮ সালে ভোটের হার ছিল ৮১.৬১ শতাংশ। ২০১৩ এ সিটিতে ভোট পড়ে ৭৬.০৯ শতাংশ। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।