রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে শান্তি আলোচনা করতে প্রস্তুত মস্কো। তবে, মেনে নেয়া হবে না কোনো ধরনের শর্ত। আলোচনায় যেন কোনো পক্ষের স্বার্থ উপেক্ষিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে— চীন সফরে গিয়ে গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) এ কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্সের।
এই সফরে ইউক্রেন ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনা করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধের সমাধান খোঁজার বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই নেতা। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন যদি উদ্যোগ নেয়, সেটিকে স্বাগত জানানোর কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমরা সবসময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ইউক্রেন কিংবা তার মিত্রদের মতো আমরা কখনোই আপত্তি জানায়নি। তবে পশ্চিমারা মস্কোর চাওয়াকে উপেক্ষা করে কিয়েভের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরতে চায়। এরপর ‘পুরো বিশ্বের চাওয়া’ নাম দিয়ে তা রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।
আলোচনায় বসতে ইতিবাচক হলেও বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করেন পুতিন। যেমন, আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পশ্চিমাদের মানবেন না বলেও স্পষ্ট করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এ বিষয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এর আগেও শান্তি চুক্তির নামে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। কিয়েভ থেকে রুশ সেনারা পিছু হটলে আলোচনার কথা বলা হয়েছিল। আমরা পিছু হটি। কিন্তু তারা আলোচনা না করে পাল্টা হামলা চালায়। এখন আমাদের কাছে স্পষ্ট, কাকে কতটুকু বিশ্বাস করা যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখতে চাইছে রাশিয়া। যদিও নতুন করে ওয়াশিংটনের কোনো নিষেধাজ্ঞা পেতে চায় না বেইজিং। আবার মিত্র মস্কোকেও নিরাশ করতে চায় না শি জিনপিং প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে চীন কী সিদ্ধান্ত নেয় তা-ই এখন দেখার বিষয়।