ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন মার্কিন জনগণ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়ে গেছে গণনা। কয়েকটি রাজ্যে বুথ বন্ধ হবে আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই। তবে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে বড় ব্যবধানেই এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেমনটা অনুমান করেছিল জনমত জরিপগুলো, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এবারের নির্বাচনে, তেমনটা বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখা যাচ্ছে না ঠিক। ভোট গণনা শুরু হতেই বোঝা যাচ্ছে, বাইডেন প্রশাসনের নীতির কারণে ব্যাপকভাবে আস্থা হারিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।
যন্ত্রণাদায়ক উত্তেজনায় রাত কাটাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার মসনদে যেতে ঐতিহাসিক জমজমাট লড়াইয়ের ফলাফল ঘোষণা চলছে। তাই সবার দৃষ্টি এখন গণমাধ্যমের প্রচারিত সর্বশেষ সংবাদে। খবর এএফপির।
তবে এবারও সুইং স্টেট বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলো ফলাফল নির্ধারণে প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোট যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও রাখতে যাচ্ছে প্রধান ভূমিকা।
যদি সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা বা অন্য বাকি চারটির ভোটের ব্যবধান কয়েক হাজারে নেমে আসে, তবে ফলাফল ঘোষণায় আরও কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে বা লাগতে পারে কয়েকদিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটার গতকাল মঙ্গলবার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোট দিতে যায়। এ ছাড়া আরও লাখ লাখ ভোটার আগাম ভোট দেয় ডাকযোগে।
দেশটির নাগরিকরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী পদটি কী কমলা হ্যারিস পেতে যাচ্ছেন নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতি নিয়ে আবারও ফিরে আসবেন ক্ষমতার মসনদে।
উত্তেজনা আর সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বেশকিছু নির্বাচন কেন্দ্রে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া গেছে। এই তালিকার মধ্যে আছে জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়াও। তবে সবগুলো হুমকিই ছিল নিছক গুজব তবে সেগুলো নির্বাচনের স্বাভাবিক কাজকে কিছুটা হলেও বিঘ্নিত করেছিল।
জর্জিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত ফুলটোন কাউন্টিতে পাঁচটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এই অঙ্গরাজ্যটি ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ সাপিরো এ প্রসঙ্গে জানান এখানে জনসাধারণের জন্য বিশ্বাসযোগ্য কোনো হুমকি নেই।