র্যাবের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপকৃত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানান। তথ্যমন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে তথ্যমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কবে থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে- জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। সেটি উঠিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেটাও একটি প্রসেসের মাধ্যমে হবে।
যেভাবে হয়েছে, সেই দীর্ঘ প্রসেসের মাধ্যমে করতে হবে। একটু দীর্ঘ হবে, সেটাই বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণকারীদের বিচার হবে বলে মার্কিন দূতকে জানিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে, সেটা খুঁজে বের করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আজ পর্যন্ত দুই জন মারা গেছে। সেখানে যারা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেছেন, তাদেরকে কি ছাত্ররা আক্রমণ করেছে নাকি ব্যবসায়ীরা আক্রমণ করেছে সেটা খুঁজে বের করে বিচার হবে। সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন। সেখানে আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের গণমাধ্যম কীভাবে কাজ করে এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। সারা বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেভাবে কাজ করে, অনেক উন্নয়নশীল দেশে এভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রদূতকে আমি ইউকের গণমাধ্যমের উদাহরণ দিয়েছি, সেখানে গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশন হলে, কারও বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হলে, কারও চরিত্র হনন করা হলে যেমন গণমাধ্যমকে ফাইন (জরিমানা) গুনতে হয়, ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেটা আমাদের দেশে সেভাবে নাই। আমি এই তুলনামূলক চিত্রগুলো তার সামনে উপস্থাপন করেছি, বলেন মন্ত্রী।