এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।
এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে যা ছিলো ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
আলিমে পাশের হার ৭৫.৬১ শতাংশ
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের আলিম পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশে গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৮ জন।
কারিগরিতে পাশের হার ৬২.৬৭ শতাংশ
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশে গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১০ জন।
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। তবে এ পরীক্ষায় প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
পাশের হার ও জিপিএ-৫ এ এগিয়ে ছাত্রীরা
চলবি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে। তাদের পাশের হার ৬২.৯৭ শতাংশ। বিপরীতে ছাত্রদের পাসের হার ৫৪.৬০ শতাংশ।
অপরদিকে জিপিএ-৫ পাওয়াতেও এগিয়ে ছাত্রীরা। তারা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৪৪ জন। ছাত্ররা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৫৩ জন।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড বোর্ড
- পাশের হার: ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ
- জিপিএ -৫ পেয়েছে: ২৭০৭ জন
ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ড
- পাশের হার ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ
- জিপিএ-৫ পেয়েছে: ২৬৮৪ জন।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড
- পাসের হার: ৬৪.৬২ শতাংশ
রাজশাহী বোর্ড
- পাশের হার: ৫৯.৪০ শতাংশ
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড
- পাশের হার: ৫২.৫৭ শতাংশ
বরিশাল শিক্ষাবোর্ড:
- পাশের হার: ৬২.৫৭ শতাংশ
সিলেট শিক্ষাবোর্ড
- পাশের হার: ৫১.৮৬ শতাংশ
যশোর শিক্ষাবোর্ড
- পাশের হার: ৫০.২০ শতাংশ
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড
- পাশের হার: ৫৭.৫৯ শতাংশ
সর্বোচ্চ পাসের হার ঢাকায়, সর্বনিম্ন কুমিল্লায়।
গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৬৯ হাজার ৯৭ জন;
ফল জানা যাবে যেভাবে
- প্রকাশিত ফলাফল শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে বোর্ড, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে।
- আবার কেউ চাইলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্র থেকেও ফলাফল জানতে পারবে।
- আর ফল জানার তৃতীয় পদ্ধতিটি হলো এসএমএস। এক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ট কোড 16222–এ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, রোল ও বছর লিখে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।


















