জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম পদত্যাগ করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্য তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে রাষ্ট্রপতি বরাবর আমি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় উপাচার্য রেজিস্ট্রার প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম বেঁধে দিলেও তিন ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেন তিনি।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ এবং প্রথম নারী উপাচার্য। ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সাদেকা হালিমকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। তার নিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫–এর ১০ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়স পূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে ওই মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন। উপাচার্য পদে তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
সাদেকা হালিম কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন। পরে কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। তথ্য কমিশনের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার ছিলেন তিনি।

















