দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোববার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এর আগে শনিবার ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে দেশের সব সমন্বয়কারীদের মিটিং ও গণসংযোগের করবে আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সমন্বয়কারীরা।
এর আগে বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, সরকার যেখানে কোটা বাতিল করলো সেখানে কাদের জন্য কোটা রাখা হলো। এই কোটা কে চায়? কোন অদৃশ্য শক্তির জন্য এই কোটা বহাল করা হলো। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ শুনানি হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু রায় হলো। আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নয়, আন্দোলন থেকেই দাবি আদায় করে নেয়া হবে। নতুন করে কোটা বহাল রেখে রাষ্ট্র যন্ত্রের রেষারেষিতে ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
‘আদালত ও ছাত্র সমাজকে একে অপরের ওপর খেপিয়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ১৮ সালে পরিপত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন করা হয়েছে। সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আজকে আমরা চলে গেলেও দ্বিগুণ শক্তিতে ফিরে আসবো।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোটা ব্যবস্থা আগের মতোই বহাল থাকবে বলে ওই পরিপত্রে বলা হয়।














The Custom Facebook Feed plugin