শুক্রবার লন্ডনে জানাজা শেষে দেশে আনা হবে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ। লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক ছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে বরেণ্য এ লেখকের মৃত্যু হলে শুক্রবার (২০ মে) পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেইন জামে মসজিদে তার জানাজার প্রস্তুতি চলছে। একাত্তরকে আবদুল গাফফার চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজনরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ঢাকার বনানীতে স্ত্রীর কবরের পাশেই শেষ নিদ্রায় শায়িত হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন সাংবাদিক ও একুশের প্রভাত ফেরী গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুর খরব ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে লন্ডনে অবস্থানরত গাফফার চৌধুরীর সন্তান, পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা ছুটে যান লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে।
হাসপাতাল থেকে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক একাত্তরকে জানান, হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেইন জামে মসজিদে আবদুল গাফফার চৌধুরীর জানাজার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেইনে শুক্রবার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন গাফফার চৌধুরীকে।
তিনি আরো বলেন, গাফফার চৌধুরীর সন্তান ব্রিস্টলে রয়েছেন। তিনি আসলেই পরিবারকে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে। হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে আজ। পরিবারের সদস্যরা লাশের সাথেই রয়েছেন।
শনি ও রোববার দুই দিনই বিমানের ফ্লাইট রয়েছে। তাই বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব লাশ পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যোগ করেন সাজিদুর রহমান।
গাফফার চৌধুরীর পারিবারিক সূত্র জানায়, লন্ডনে প্রথম নামাজে জানাজা শেষ হলেই বরেণ্য এই সাংবাদিকের মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
গাফফার চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোজাম্মেল আলী জানিয়েছেন, গাফফার চৌধুরী স্ত্রীর পাশে বনানীতে চির নিদ্রায় শায়িত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। আমাকে বলেছিলেন সেখানে তার জন্য জায়গাও রাখা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গাফফার চৌধুরী দীর্ঘদিন কিডনি জনিত রোগে ভুগলেও বাংলাদেশ হাই-কমিশন সূত্র জানিয়েছে ৮৮ বছর বয়সী গাফফার চৌধুরী হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।