বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দুই মাস আগে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। খবর এনডিটিভির।
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে আমি আগেই বলেছিলাম যে, তিনি স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছেন। তিনি এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে, সুতরাং ভারতে তার স্ট্যাটাস পরিবর্তন হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন পেয়েছি। তবে এই বিষয়ে আমার কাছে মন্তব্য করার মতো কোনো তথ্য নেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুটি আলাদা আবেদনের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আদালতের নির্দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনাল থেকে যে ৪৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তারা কোথায় আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আদালত একমাস সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা অবশ্যই সেটি করব। আনঅফিসিয়ালি জানতে পেরেছি তিনি দিল্লিতেই অবস্থান করছেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে সামরিক বাহিনীর বিমানে করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।