সংস্কারের পর নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে হবে। এরপর নির্বাচন দেওয়া হবে।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
আগামী নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের নির্বাচন হবে, এই প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি এবং নির্বাচিত লোকেরা দায়িত্ব পেয়ে দেশ পরিচালনা করতে পারবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, তাই আমাদের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আগে কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে এবং এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
সাক্ষাৎকারে তরুণদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, তোমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নই জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী চালিকাশক্তি।
তিনি বলেন, যদি তোমরা স্বপ্ন দেখো, তবে তোমাদের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু যদি স্বপ্ন না দেখো, আমি নিশ্চিত কখনোই কোনো পরিবর্তন হবে না।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার, সংসদ এবং নির্বাচনী বিধিমালার পাশাপাশি সম্ভাব্য সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে আমাদের দ্রুত একমত হতে হবে।
বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিতিশীলতার বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো সরকারই স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবে। আমরাও উদ্বিগ্ন। আমরা আশা করছি আমরা এটি সমাধান করতে পারব এবং একটি শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা রাখতে পারব। বিপ্লবের তো মাত্র তিন মাসই পার হলো।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সংস্কারকাজে হাত দিয়েছে। বিএনপিসহ বেশ কিছু দল যতটুকু সম্ভব সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।