আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে সাদিকের ডেরা থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ছয়টি আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
জাল-জালিয়াতি করে ২০২১ সালে ১৮টি গরু দেশে আনেন সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক আলোচিত শাহ ইমরান হোসাইন। কিন্তু অনুমতি না থাকায় বিমানবন্দরেই সেগুলো জব্দ করে কাস্টমস।
সেখান থেকে দেয়া হয়েছিল সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামারে। কিন্তু সাভারের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে গরুগুলো আবার নিজের কব্জায় নেন ইমরান। এরপর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য একেকটি গরুর দাম হাঁকা হয় কোটি টাকা।
বুধবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রোর বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। ঈদের আগে আলোচনায় আসা ব্রাহমা জাতের ছয়টি গরু সেখানে না তারা। এরপর সেগুলো উদ্ধার করেন তারা।
১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে সম্প্রতি ফেঁসে গেছেন ইমরান হোসাইন। আর ওই ছাগল কিনে ফেঁসেছেন এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী ও ছেলে।
ছাগলের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। আমদানি নিষিদ্ধ অসংখ্য গরু সাদিকের হাতে কীভাবে গেল তা কতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৫ লাখ টাকার বিদেশি ছাগলই বা ইমরান হাতে কেন, তাও দেখা হচ্ছে অভিযানে।
সাদিকের ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে গরু চোরাচালান বিশেষ করে অবৈধভাবে দেশে গরু আনার অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরু দেশে আনার পর আলোচনায় আসেন ইমরান।
ব্রাহমা জাতের গরু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশে মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পর সরকার ২০১৬ সালে ব্রাহমা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।