চারদিনের প্রথম টেস্টের পর ইসলামাবাদে পাকিস্তান শাহিনসের সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টও ড্র করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দুই দিনই ভেসে যায় বৃষ্টিতে। এরপর তৃতীয় দিনে মাঠে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন জাকের আলি অনিক ও সাইফ হাসানরা। ফলে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪০৪ রানের বড় পুঁজি পেয়ে যায়। বিপরীতে স্বাগতিক শাহিনসও দারুণ জবাব দিচ্ছিল। তবে তারা ৪ উইকেটে ২৮১ রান তুলতেই শেষ হয়ে যায় চতুর্থ দিন।
ফলে প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টও শেষ হলো ড্র দিয়ে। বাংলাদেশ ‘এ’ দল এবং পাকিস্তান শাহিনস-ও টেস্ট সিরিজ ০-০ ব্যবধানেই শেষ করলো। বাংলাদেশের দুই সেঞ্চুরির জবাবে স্বাগতিক শাহিনসের ওপেনার আলি জারইয়াব আসিফও সেঞ্চুরি করেছেন। তবে ১১৭ রানে থাকা অবস্থায় তিনি ক্রিজ ছাড়েন রিটায়ার্ড আউট হয়ে। এর আগে আরেক ওপেনার ইমাম-উল হককে শূন্য রানেই এলবিডব্লু করে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
তবে টপ অর্ডার ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ভূমিকায় চাপে পড়তে হয়নি পাকিস্তান শাহিনসকে। ওয়ানডাউনে নামা কামরান গুলাম ৩৪ এবং সাদ খানও ৩৭ রান করে ফিরেছেন। এরপর দুই মিডল অর্ডার মিলে বাকি দিন পার করেছেন শাহিনসের। শারুন সিরাজ ৫৩ এবং কাসিম আকরাম ৩৬ রান করতেই ম্যাচ ড্র নিয়ে দিন শেষ হয়। ৪ উইকেটে ২৮১ রান তুলে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, রুয়েল মিয়াহ ও তানজিম হাসান সাকিব।
এর আগে এনামুল হক বিজয়ের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে সর্বোচ্চ ১৭২ রান করেন জাকের আলি। ২৮৬ বলের ইনিংসটিতে তিনি ১৭ চার ও ৫টি ছয় মেরেছেন। তিনি আগেরদিনই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন, আজ আউট হন দেড়শ পেরিয়ে দুইশ রানে দৌড়ে থাকাবস্থায়। তার আগে সাইফ হাসান ১৬৫ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১১১ রান করেন।
এ ছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৩৯ এবং শাহাদাত হোসেন দীপুর ২৩ রান ছাড়া বলার মতো রান পাননি কেউই। মূলত ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে থাকা বাংলাদেশকে জাকের ও সাইফ সেঞ্চুরি করে টেনে তুলেছেন। পরে ৪০৪ রান তুলেই তারা ইনিংস ঘোষণা করে। পাকিস্তান ‘এ’ দলের হয়ে ১০৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আবরার আহমেদ। চারদিনের ম্যাচ হলো দুই দিনে, আর দুই দল এক ইনিংস করে ব্যাট করেই সিরিজ শেষ করলো কোনো জয় ছাড়াই। আগামী ২৬, ২৮ ও ৩০ আগস্ট তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দুই দল।