তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৫০৪ জন বলে উল্লেখ করেছে। সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে আরও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কয়েক মিনিট পর আবারও একাধিক আফটার শক হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে।
প্রথম কম্পনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দ্বিতীয় আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার ছিল খারমানমারাসের শহরের কাছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমও জানিয়েছে, সর্বশেষ ভূমিকম্প দামেস্কতেও অনুভূত হয়েছে। যদিও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৫ মাত্রার।
শুধু সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫৯২ বলে বলে সিরীয় বার্তা সংস্থা সানা উল্লেখ করেছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে আলেপ্পো, হামা, লাটাকিয়া ও তারতুস অঞ্চলে। দেশটিতে আরও ১ হাজার ৮৯ জন আহত বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স বিলে পরিচিত উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেট বলেছে, সিরিয়ার সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অন্তত ২২১ জন নিহত ও ৪১৯ জন আহত হয়েছে।
টুইটারে হোয়াইট হেলমেটস লিখেছে, হাজারো মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অবস্থায় রয়েছে।
তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ৯১২ জন বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি আরও বলেছেন, আহতের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮৫জন।
উদ্ধারকর্মীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৪৫টি দেশ তুরস্ককে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।