র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুলতানা জেসমিন নামে নারী অসুস্থ হয়ে যাওয়া ও পরে মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মঈন বলেন, অবহেলা পাওয়া গেলে এবং কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদালত যে তথ্য পেয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে একইদিন ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক।
পরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট’ তলব করেন। একইসঙ্গে সুলতানা জেসমিন র্যাবের যে কর্মকর্তার অধীনে ছিলেন তার নাম আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতারণার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদে বুধবার সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। এরপর শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে সুলতানার স্বজনরা অভিযোগ করেন, আটকের পর নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, আটকের পর তাকে র্যাবের কোনো ক্যাম্পে নেওয়াই হয়নি। আটকের পরপরই সুলতানা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃতুর আগ পর্যন্ত সুলতানার স্বজনরা সঙ্গে ছিলেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহাম্মদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রামেকে সিটি স্ক্যান করে তারা জানতে পারেন মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে সুলতানার মৃত্যু হয়েছে।
র্যাব জানায় সুলতানার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। তার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে র্যাব অভিযোগের সত্যতা পায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।