পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ২ ও ৪ মে’র টিকিট বিক্রির কথা জানিয়েছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী রাত পৌনে ৯টায় শুরু হয় সারাদেশে রেলের টিকিট বিক্রি। শুরুর পর গত সোয়া ১ ঘণ্টায় (রাত ১০টা পর্যন্ত) সারাদেশে প্রায় ২২ হাজার টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১ মে) রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহায়ক প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ।
এর আগে রোববার রাত ৯টায় চাঁদ দেখা না যাওয়ায় টিকিট বিক্রি শুরুর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আফসার উদ্দিন। এ দুই দিনের টিকেট একযোগে কাউন্টার ও অনলাইন থেকে পাওয়া যাবে।
আজ রাত ৮টার পর থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীরা কাউন্টারে ভিড় করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। যারা কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাচ্ছেন, তারা কাউন্টার ছেড়ে যাচ্ছেন।
মূলত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। এরইমধ্যে অনেকে ঢাকা ছেড়েছেন। আবার অনেকে শেষ মুহূর্তে যাচ্ছেন। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও মোটরসাইকেলে এবার রাজধানী ছেড়েছেন অনেকে। শুরুর দিকে সড়কে জট সৃষ্টি না হলেও শেষ দিকে এসে যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
এদিকে ঈদুল ফিতর শেষে ঘরমুখো মানুষের নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ (১ মে) থেকে। ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ৩ মে ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। ঈদের পর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে ৫ মে’র টিকিট দেওয়া হচ্ছে আজ। ৬ মে’র টিকিট ২ মে, ৭ মের টিকিট ৩ মে এবং ৮ মের টিকিট ৪ মে বিক্রি করা হবে।