রবিবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেসির আর্জেন্টিনা

প্রতিবেদক
Newsdesk
ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ ৭:০২ অপরাহ্ণ

মন্টিয়েল পেনাল্টি থেকে যখন গোলটি দিলেন বুয়েন্স আয়ার্সে তখন বিকেল। সেই বিকেলের সূর্য আর্জেন্টিনায় ডুবলেও উঠেছে সারা বিশ্বে, বিশ্ব ফুটবলে। আর্জেন্টিনা আবারও বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। ৩৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের মুকুট পড়লো আর্জেন্টিনা। মেসি পেলেন তার সেই অধরা ট্রফিটি।

প্রথমার্ধের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও এমবাপের দুই মিনিটের ম্যাজিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-২ এ সমতায় থেকে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ করে ফ্রান্স৷ অতিরিক্ত সময়েও চলে নাটক। এবার মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও এমবাপে গোল করলে ৩-৩ সমতায় থেকে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। সেখানেই জয় লাভ করে ফ্রান্স।

মাত্র দুই মিনিটে ২ গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ২-২ ব্যবধানে ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে প্রথমে গোল করে (১০৮ মিনিটে) আর্জেন্টিনাকে ফের এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এরপর মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে (১১৮ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে ফের সমতায় (৩-৩) ফেরান এমবাপ্পে।

১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জিতে তৃতীয় শিরোপা নিশ্চিত করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।

এটা ছিল ফ্রান্সের চতুর্থবার বিশ্বকাপ ফাইনাল। এর আগে ১৯৯৮ সালের পর ২০১৮ সালে শিরোপা জিতে নেয় ফরাসিরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পেদের।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এ নিয়ে ছয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাতিন আমেরিকান দলটি।

রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের মধ্য দিয় ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাল আর্জেন্টাইনরা।

এর আগে ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হয় সন্তুষ্ট থাকে আর্জেন্টিনা।

রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলার ২৩ মিনিটে ডি মারিয়াকে ডি বক্সের মধ্যে ফ্রান্সের ফুটবলার উসমান দেম্বেল ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। চলতি আসরে এটি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের ষষ্ঠ গোল।

৩৬তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইনজুরি থেকে ফেরা ডি মারিয়া। তার করা গোলেও মেসির অবদান রয়েছে।

মাঝমাঠে মেসি ছোট্ট এক সুন্দর টোকায় পাস বাড়ান ডান দিকে, বল ধরে হুলিয়ান আলভারেস এগিয়ে গিয়ে সামনে বাড়ান মাক আলিস্তেরকে। তার পাস বক্সের বাঁ দিকে ফাঁকায় পেয়ে কোনাকুনি শট নেন ডি মারিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়া ফ্রান্সের লরিসকে ফাঁকি দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।

৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ডিবক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপ্পে।

এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার গোল করেন এমবাপ্পে। ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত ভঙ্গিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা।

২ গোল করে ৭৯ মিনিট এগিয়ে থেকেও দুই মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের করা ২ গোল দারুণভাবে খেলায় সমতায় ফেরে ফ্রান্স।

এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে লাউতারো মার্তিনেসের বুলেট গতির কোনাকুনি শট কোনোমতে ফেরান উগো লরিস, তবে বল হাতে রাখতে পারেননি তিনি। গোলমুখে বল পেয়ে ডান পায়ের টোকায় দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান মেসি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক