গত ১৫ বছরে দেশ থেকে যারা মিলে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন এমন ৩০০ -এর অধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে গেলো ৮৫ দিনে। আবার ১০০ মামলাও করা হয়েছে এস আলম ও সালমান এফ রহমানসহ এমন লুটেরাদের বিরুদ্ধে!
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ বলছে, আত্মসাৎ করা অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কোষাগারে জমা করা হবে। তবে, এতদিন বিএফআইইউ কেন ঘুমিয়ে ছিলো? সে প্রশ্নও করছেন অর্থনীতিবিদরা।
আওয়ামী দুঃশাসনের অবসানের দিন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২ মাস ২৫ দিনে এস আলম গ্রুপের সাইফুল আলম মাসুদ, বেক্সিমকোর সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরার আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম এবং সামিট গ্রুপ কর্ণধার আজিজ খানসহ ৩ শতাধিক অভিযুক্ত অর্থ পাচারকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বিএফআইইউ। সাথে মামলা হয়েছে শতাধিক। জব্দ অ্যাকাউন্টগুলোতে বড় অঙ্কের অর্থ এখনো রয়ে গেছে, বলছে বিএফআইইউ।
আইন মেনেই ৩০ দিন করে ৭ বারে সর্বোচ্চ ৭ মাস কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখতে তফশিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিতে পারে বিএফআইইউ।
যদিও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কিছু ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা ছাড়া আর কিছু করবেন না তারা।
বরাবরই আর্থিকখাতে লুটপাটের কড়া সমালোচক অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বললেন, টাকা পাচারকারী অথবা পাচারকৃত টাকা ফেরত না আনা ব্যক্তি এবং দেশে জঙ্গীবাদের সমর্থনে অর্থায়নের অভিযোগ পেলে সরকারের উচিত হবে ৭ মাসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগের ১৫ বছরে কারও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন জব্দ করতে পারেনি বিএফআইইউ? সে প্রশ্নও তুলেছেন বিআইবিএম’র সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
বিএফআইইউ অবশ্য বলছে, অতীতে পাচার অর্থ চিহ্নিত করে তাও ফেরত আনার কাজ শুরু হয়েছে।