রাজধানীসহ সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মোট ১৮৬টি কেন্দ্রে শিশুদের টিকা কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর নিলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এখন পর্যন্ত রেজিস্টেশন করেছেন আপাতত তাদের দেওয়া হচ্ছে। যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের পরে দেওয়া হবে। আমরা কেন্দ্রভিত্তিক সিলেকশন করেছি। কারণ, কেন্দ্রভিত্তিক সিলেকশনে তারা অটোমেটিক স্কুলে এসে টিকা নিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২১টি কেন্দ্রে টিকাদান শুরু হয়েছে আজ সকালে। আমরা প্রথমে সারা দেশের সিটিগুলোতে দেবো। তারপর পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলায় দেবো। আজকে থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চালাবো।’
জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখছি, সব বাচ্চারাই খুব আগ্রহ নিয়ে টিকা দিতে এসেছে। আমাদের ইচ্ছা পর্যায়ক্রমে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো।’
কোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়ার পর কোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। যদি ঘটেও থাকে তার সংখ্যা খুবই কম। তাও আমরা আমাদের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে একটি ম্যানেজমেন্ট টিম রেখেছি। যাতে তারা কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সহজেই ম্যানেজ করতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আমরা ডোজ কমিয়ে নিয়ে এসেছি। এদের আমরা পয়েন্ট ২ এমএল টিকা দিচ্ছি।’
এখন পর্যন্ত যে তথ্য এসেছে সেই তথ্য অনুযায়ী, সব জায়গায় খুবই চমৎকার টিকা কার্যক্রম চলছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, খুবই সুন্দর আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। আমরা প্রথম ১২ দিন স্কুলে দেবো। পরের ২ দিন ভাসমান পথশিশুদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা যেসব অঞ্চলে থাকে সেসব অঞ্চলে টিকা কার্যক্রম চালাবো।’
নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকা নেন স্কুলটির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ধীরাজ লাল (১০)। ধীরাজ বলেন, ‘টিকা নেওয়ার সময় বুঝতেই পারিনি। ভয় লাগেনি। ব্যথ পাইনি।’
তার বাবা রবি লাল বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগ ভালো। রেজিস্ট্রেশন করতেও অসুবিধা হয়নি। শিক্ষকদের টাকা দিয়েছি, তারাই করে দিয়েছেন।