আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, আমাদের নেত্রীর নির্দেশ ছিল— পাড়া-মহল্লায় জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য, আমাদের পাড়া-মহল্লায় পাহারাদার হিসেবে কাজ করার জন্য। আমরা সেই কাজটি করছি। ঢাকা শহরে প্রত্যেকটি অলিগলি, রাস্তায়, মোড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও শ্রমিক লীগের ভাই-বোনেরা পাহারাদার হিসেবে রয়েছেন। কারণ বিএনপির অভ্যাস খারাপ, দোকানপাট খোলা দেখলেই হাত দেবে। সেজন্য জনগণের জানমালের রক্ষা করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শনিবার (১০) ডিসেম্বর সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আজ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মী পাহারাদার হিসেবে কাজ করছে। বিকেল পর্যন্ত দুষ্টু লোকদের সভা শেষ না হওয়ার পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। মিডিয়ার সহযোগিতা চাই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই নেতা বলেন, আপনারা জানেন আজ ১০ ডিসেম্বর, বিজয়ের মাস। বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে এই মাসের পবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আন্দোলনের নামে সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। আল্লাহর রহমতে, আপনাদের দোয়ায় শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তে তাদের এই ষড়যন্ত্র ভেস্তে চলে গেছে। নস্যাৎ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি ঢাকা শহর দখল করবে। আজ খালেদা জিয়া সরকার দখল করবে। এই পরিকল্পনা নিয়ে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাবাসীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে। আজ খেয়াল করে দেখেন তারা নাকি পুরানা পল্টনে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। কেউ বলছে ২৫ লাখ লোক করবে, আজই সরকার পতন হবে। তারা জানে না আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার কচু পাতার পানি নয়। এই সরকারকে হটাতে গেলে মাজা ভাঙ্গা বিএনপির পক্ষে কোনোভাবে সম্ভব না। তারা কাগুজে বাঘ। খেয়াল করে দেখেন, কাল মঞ্চ করতে লোকও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা আগেও বলেছিলাম, এখনও বলি, শান্তিপূর্ণভাবে যে কেউ সমাবেশ করবে আমরা সহযোগিতা করব। সেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তারা আজ সভা করছে।