শনিবার , ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বিএনপির ঢাকা জনসভার মূল আকর্ষণ ১০ দফা

প্রতিবেদক
Newsdesk
ডিসেম্বর ১০, ২০২২ ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সরকার পতনের আন্দোলনে এবার সমমনা দলগুলোকে নিয়ে রাজপথে নামছে বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে একমত হয়েছে সরকারবিরোধী অধিকাংশ দল। আজ গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা ঘোষণা করবে দলটি। যার ভিত্তিতেই আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলন হবে। তবে কী আছে এই ১০ দফায়?

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী দিনে এই সরকারের বিদায়ের জন্য কতগুলো চাটার অব ডিমান্ড বা দফা আমরা ঘোষণা করব। যারা যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে বিএনপির আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, যুগপৎভাবে আমরা যে ১০ দফা প্রণয়ন করেছি, তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঘোষণা করবেন। যার যার অবস্থান থেকে তারা ভবিষ্যতে এই দফাগুলোর দাবিতে আন্দোলনকে শাণিত করে যুগপৎভাবে আন্দোলনে আসবেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘কর্মসূচি আসবে। আগের যেসব কর্মসূচি পালন করেছি তাও আবার থাকতে পারে। এর সঙ্গে আগামী দিনে হয়তো রোডমার্চ, লংমার্চ, অবস্থান-এ ধরনের কর্মসূচি থাকবে।

সূত্র জানায়, গত পাঁচ মাস ধরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করে বিএনপি। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক হয়। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দশ দফার একটি খসড়া করে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই দফা চূড়ান্ত করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দশ দফা ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর হাইকমান্ডের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ গণসমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, ঢাকার গণসমাবেশ থেকে বিএনপির লক্ষ্য, দাবি, ক্ষমতায় গেলে কী করবে তার একটি স্পষ্ট বার্তা জনগণকে দিতে চায়। একই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে একমত থাকা সরকারবিরোধী দলগুলোর উদ্দেশেও বার্তা দেওয়া হবে। অভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে রাজপথে নামবেন, কী কর্মসূচি হবে তার একটি দিকনির্দেশনা থাকবে। কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গে সরকারকে দাবি মেনে নিতে আলটিমেটামও দেওয়া হতে পারে।

১০ দফার দাবিগুলো হচ্ছে-

১. বর্তমান অনির্বাচিত অবৈধ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ভোটবিহীন, গণতন্ত্রহরণকারী, লুটেরা ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ।

২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ’-এর আলোকে একটি দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/ অন্তর্র্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৩. বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা

৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি, দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা, স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করা।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা।

৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা।

৮. গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন/দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ

৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা।

১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক