বৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

ডলার-সংকটের প্রভাব চিনি নিয়ে সাগরে ভাসছে আরও দুই জাহাজ

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ ২:২৫ অপরাহ্ণ

ডলারে আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় নিত্যপণ্য বহনকারী আরও দুই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। এই দুই জাহাজে করে ব্রাজিল থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে। বর্তমানে এ দুটি জাহাজ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টন চিনি খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এ নিয়ে ডলার-সংকটে পণ্য খালাস করতে না পারা জাহাজের সংখ্যা পাঁচটিতে উন্নীত হয়েছে। খালাস করতে না পারা পণ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টনে।

দুই জাহাজের একটি ‘এমভি একিলিস’। গত ২৪ ডিসেম্বর ৫৫ হাজার ৬৫০ টন চিনি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় পৌঁছায় জাহাজটি। এই জাহাজের চিনি আমদানিকারক এস আলম গ্রুপ। মূলত বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণপত্রের বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় জাহাজটি থেকে পণ্য খালাসের অনুমতি মিলছে না বলে জানা গেছে।

আরেকটি জাহাজ ‘এমভি ট্রুঅং মিন প্রসপারিটি’ জাহাজটি ৫৫ হাজার টন চিনি নিয়ে বন্দর জলসীমায় পৌঁছায় গত ১৮ অক্টোবর। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু গ্রুপ। একটানা ৯২ দিনে জাহাজটি থেকে ২৯ হাজার ২৩৯ টন চিনি খালাস হয়েছে। ডলারে আমদানিমূল্য শোধ না করায় বাকি ২৫ হাজার ৭৫১ টন পণ্য খালাসের অনুমতি দিচ্ছে না রপ্তানিকারক। জটিলতা না থাকলে সাধারণত ৮ থেকে ১০ দিনে এই চিনি খালাস হওয়ার কথা।

এদিকে খালাস করতে না পারায় জাহাজগুলোর একটি ‘এমটি সোগান’ থেকে সয়াবিন তেল স্থানান্তর করে দেশীয় একটি জাহাজে রাখা হয়েছে। ৬ জানুয়ারি জাহাজটি অপরিশোধিত সয়াবিন নিয়ে বন্দরে পৌঁছায়। আমদানিকারক বাংলাদেশি টাকায় ঋণপত্রে দায় পরিশোধ করেছে। তবে ব্যাংক ডলারে রপ্তানিকারকের ব্যাংকে আমদানিমূল্য পরিশোধ করতে না পারায় মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি জাহাজটি থেকে তেল খালাস করতে পারছে না।

‘এমটি সোগান’ জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি প্যানমেরিন শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসলাম বলেন, বিদেশি জাহাজের প্রতিদিনের ক্ষতিপূরণ বেশি। ক্ষতিপূরণ কমাতে জাহাজটি থেকে তেল দেশীয় একটি জাহাজে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর বিদেশি জাহাজটি সোমবার সন্ধ্যায় বন্দর ত্যাগ করেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশীয় জাহাজে স্থানান্তর করা হলেও তা এখনো খালাসের সুযোগ নেই। কারণ, দেশীয় জাহাজটির পণ্যও রপ্তানিকারকের জিম্মায় রয়েছে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত