আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের (বাংলাদেশের) গণতন্ত্র আমরাই চালাব। বিদেশি কারো ফরমায়েশে চলবে না।
শুক্রবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কারো ফরমায়েশে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চলবে না। নির্বাচন কেমন হয় তা দেখতে ইউরোপ-আমেরিকাসহ যে কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।
সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ইতিহাস। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের পাশে থাকে, ক্ষমতায় না থাকলেও মানুষের পাশে থাকবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কিন্তু বারবার হত্যার রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজ বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলন হয় না কতদিন তাদের। নিজেরাই কমিটি দেয়। তারা কিভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগকে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আমলে ভোটচুরির রেকর্ড হয়েছে। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, ওয়ান-ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ। তারা গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। এ দেশে গণতন্ত্রের যত অর্জন, ৭৫-পরবর্তী গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে তার অগ্রভাগে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।