শনিবার , ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ঢাকা নিউ মার্কেটের আগুনে কারও স্বপ্ন আগুনে পুড়েছে, কারও ভিজেছে পানিতে 

প্রতিবেদক
Newsdesk
এপ্রিল ১৫, ২০২৩ ৫:৩১ অপরাহ্ণ

মোটামুটি ঘণ্টা চারেকের আগুনে পুড়েছে নিউ সুপার মার্কেট। তাতেই সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেটের ভেতরে ঢুকে দেখছেন সব শেষ। যে কাপড়গুলো পোড়েনি সেগুলোও নষ্ট হয়েছে পানিতে ভিজে।

দুপুরেও এই মার্কেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানে ঢুকে কাগজপত্র, টাকাপয়সা যা পাচ্ছেন বস্তায় ভরে বের করছেন।

নিউ মার্কেট হকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, এই আগুনের কারণে নিউ মার্কেটগামী রাস্তা সায়েন্স ল্যাব ও নীলক্ষেত উভয় প্রান্ত থেকে বন্ধ রয়েছে, যে কারণে ক্রেতারা কম আসছেন।

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন, নিউমার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সব দোকান মালিকদেরকে নিয়ে এই জায়গায় অবস্থান করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হবে অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে আগুন না নিভবে ততক্ষণ পর্যন্ত মার্কেট খোলা হবে না। এটি সবার সাথে বসেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগুনের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ঈদের আগে কেন মার্কেটে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আমি অনুরোধ জানাবো, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।

ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভলান্টিয়ারসহ আমাদের ১২ জন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আমাদের মনযোগ আগুন নিয়ন্ত্রণের দিকে, মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে।

রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এখন ঘুরে দেখছি কোনো কূলকিনারা পাওয়া যায় কি না। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমার পাইকারি দোকানে বিশ লাখেরও বেশি টাকার কাপড় ওঠানো ছিল। আজ হোলসেল ডেলিভারি দেওয়ার জন্য অনেকগুলো প্যাকেট কমপ্লিট করে রাতে বাসায় গিয়েছিলাম। সকালে এসে দেখলাম সব শেষ। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব সেটি বুঝতে পারছি না।

আসমাউল মুত্তাকিন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমার দোকানে শীতের জ্যাকেট ও তুলার তৈরি গরম কাপড় রাখা ছিল। আগুনে না পুড়লেও পানির ছাটে নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে সবগুলো বের করার চেষ্টা করছি। কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠব তা বুঝতে পারছি না।

প্রসঙ্গত, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ারের ৩০টি ইউনিট।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক