নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ শপথ নেবেন মো. সাহাবুদ্দিন। তাকে বরণ ও শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত বঙ্গভবন।
সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি শপথ নথিতে সই করবেন। এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েকশ বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এজন্য বঙ্গভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, শপথ নেওয়ার পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করবেন।
নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসভবন ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ যাবেন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে আবদুল হামিদ বঙ্গভবন ত্যাগ করবেন। এরইমধ্যে বঙ্গভবন থেকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাবেন।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় নতুন রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবনে উঠবেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পরদিন মঙ্গলবার সকালে নতুন রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ৭৩ বছর বয়সি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা।
মোঃ সাহাবুদ্দিন ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন এ রাজনীতিবিদ।
নতুন রাষ্ট্রপতি ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাবনায় আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।